আজ শনিবার, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ বাংলা বর্ষবরণে জেলা জুড়ে ব্যাপক আয়োজন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

আজ পহেলা বৈশাখ । বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। আজ সকাল সাড়ে আটটায় শহরের চাষাঢ়া থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সেখান থেকে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিসি বাংলোতে গিয়ে শেষ হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আয়োজন করা হয়েছে পান্তা ইলিশের।

এছাড়াও সকাল নয়টায় শহরের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগের মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর উদ্যোগে দুটি স্থানে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সকাল মন্ত্রী রূপসী নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
এছাড়া সোনারগাঁ আড়াইহাজার সদর বন্দরে বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান হবে।

নির্বিঘেœ বর্ষবরণ উৎসব পালনে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম জানান, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকেও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে এবং গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারীও জোরদার করা হয়েছে। কোথাও কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা করছি না।

বাংলাবর্ষের প্রথম দিনে নারায়ণগঞ্জের কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপণের আয়োজন করা হয়েছে।

দিনব্যাপী এমনই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালি বরণ করে নেবে নতুন বছরকে। বৈশাখের আবহে সবাই মনে মনে ‘রাঙিয়ে দাও রাঙিয়ে দাও আমার সত্ত্বাকে/আষাঢ় শ্রাবণ কার্তিক পৌষ মাসে/আমার মনেতে যেন রঙ লেগে থাকে’ বন্দনা করতে করতে ঘরে ফিরবে।

গ্রাম থেকে শহর, নগর থেকে বন্দর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ থেকে অফুরান প্রকৃতি সবখানেই আজ দোল দেবে বৈশাখী উন্মাদনা। মুড়ি-মুড়কি, মন্ডা-মিঠাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচে-গানে, ঢাকেঢোলে, শোভাযাত্রায় পুরো জাতি বরণ করবে নতুন বছরকে। খোলা হবে বছরের নুতন হিসাব নিয়ে হালখাতা। চলবে মিষ্টিমুখের আসর। তারও আগে সকালটা কারও কারও শুরু হয়েছে নগর সংস্কৃতির দান পান্তা-ইলিশ উৎসবে মেতে উঠে।